কিভাবে মাত্র এক সপ্তাহে চুল পড়া বন্ধ করবেন জেনে নিন
এক সপ্তাহে চুল পড়া বন্ধ করতে চাইলে বলবো এই আর্টিকেলটি আপনার জন্য। বর্তমান সময়ে সবচেয়ে একটি বড় সমস্যা হলো চুল পড়া যা বড় ছোট সকলেই এই সমস্যার সম্মুখীন হতে হচ্ছে।
কেননা চুল পড়া সমস্যা তৈরি হয় নানা কারনে, তবে আমরা অনেক কিছু দিয়ে চেষ্টা করি।চুল পড়া রোধের জন্য কিন্তু ভাল ফলাফল পায়না।
পেজ সূচিপত্র
- চুল পড়া কমানোর জন্য ঘরোয়া উপায়
- এক সপ্তাহে চুল পড়া বন্ধ করতে প্রাকৃতিক উপায়
- এক সপ্তাহে চুল পড়া বন্ধ করতে কোন কোন ভিটামিন প্রয়োজন
- চুল পড়া রোধে কি কি খাবার খাওয়া প্রয়োজন
- চুলের গোড়া শক্ত করতে কিসের তেল বা কোন তেল প্রয়োজন
- চুল পড়া রোধে কোন কোন শ্যাম্পু ব্যবহার করতে হবে
- চুল পড়া রোধে ৮ টি পরীক্ষিত উপাদান
- চুল পড়া কমানোর জন্য কিভাবে চুলের যত্ন নিতে হবে
চুল পড়া কমানোর জন্য ঘরোয়া উপায়
চুল পড়া এখন একটি কমন বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে, প্রায় সকলেরই একি সমস্যা। আমরা অনেকে এর সঠিক সমাধান খুজে পাচ্ছিনা ফলে ভীষণ চিন্তিত হয়ে পরছি। কিন্তু আমরা চাইলে এর সমাধান ঘরোয়া ভাবে করতে পারি। তবে নিয়মিত চুলের যত্ন নিতে হবে যদি ভাল ফলাফল আশা করেন। আমাদের
নিত্যদিনের প্রয়োজনীয় জিনিসগুলো দিয়ে আমরা চুলের যত্ন নিয়ে চুল পড়া কমাতে পারি। যেমন আমাদের বাসায় ডিম,পেঁয়াজ, লেবু ,টক দই প্রভৃতি জিনিস সবসময় আমাদের বাসায় থাকে।এইগুলো দিয়ে আমরা চুল পড়া বন্ধ করতে পারি। এখন আপনার মনে প্রশ্ন জাগতে পারে ডিম,পেঁয়াজ, লেবু ,টক দই
এর মধ্যে কি এমন আছে যে এক সপ্তাহে চুল পড়া বন্ধ করে দিতে পারে।তাহলে চলুন জানি কি আছে এইগুলোর মধ্যে। ডিমে রয়েছে ৭৮ টি ক্যালরি, ৬ দশমিক ৩ গ্রাম প্রোটিন ।এছাড়া রয়েছে ক্যালসিয়াম, পটাশিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম,আয়রন, আয়োডিন, সেলেনিয়াম,ভিটামিন বি১২, ভিটামিন বি৫,
ভিটামিন ডি,অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা চুলের গোড়া শক্ত করে চুল পড়া কমাতে সাহায্য করে। পেঁয়াজে আছে ভিটামিন এ, সি, ই অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা মাথার তাপমাত্রা কমিয়ে চুল পরা রোধে সাহায্য করে,কেননা চুল পড়ার উন্নতম কারণ মাথার অতিরিক্ত তাপমাত্রা। লেবুতে আছে ভিটামিন সি, পলিফেনলস, টের্পেনস
এবং ট্যানিন সহ অসংখ্য ফাইটোকেমিক্যাল রয়েছে যা খুশকি তাড়াতে সাহায্য করে ও চুলে ভিটামিন যোগায়। চুলে খুশকি থাকলে চুলের গোড়া দুর্বল করে দেয় ফলে চুল পড়তে থাকে। তাই লেবু চুলে দিলে খুশকি দূর হয়ে যায়। টক দই এ আছে ক্যালসিয়াম, ভিটামিন বি৬, ভিটামিন বি১২ যা চুলের গোড়া শক্ত করে চুল পড়া কমায়।
ডিম,পেঁয়াজ, লেবু ,টক দই কিভাবে চুলে ব্যবহার করবেনঃ একটি বাটিতে ডিম এর সাদা অংশ নিবেন সাথে পেঁয়াজ বেঁটে পেঁয়াজের রসগুলো ছেঁকে নিবেন। লেবু কেটে লেবুর রস বের করে নিবেন ও টক দই পরিমাণ মতো নিয়ে চারটা উপকরন একসাথে মিশিয়ে নিবেন। এইবার পরিষ্কার চুলে তেলের মত
গোড়ায় গোড়ায় ভালভাবে দিবেন। দেওয়া হয়ে গেলে অপেক্ষা করেন চুল শুকানো পর্যন্ত, শুকিয়ে গেলে শ্যাম্পু দিয়ে চুল ভালভাবে ধুয়ে ফেলুন। এইভাবে সপ্তাহে ২ বার ব্যবহার করলে ভাল ফলাফল পাবেন খুব তাড়াতাড়ি।
এক সপ্তাহে চুল পড়া বন্ধ করতে প্রাকৃতিক উপায়
আমরা সকলেই অবগত আছি যে প্রাকৃতিক জিনিস বলতে বোঝায় প্রকৃতি থেকে পাই এমন জিনিস।প্রাকৃতিক উপায়ে যদি আমরা চুলের যত্ন নেয় তাহলে চুল পড়া খুব দ্রুত কমে যাবে আমরা ভাল ফলাফল পাবো খুব তাড়াতাড়ি।কেননা বর্তমান যুগে সব কিছুই কেমিক্যাল দিয়ে তৈরি একমাত্র প্রকৃতি
থেকে জিনিসগুলো কেমিক্যাল মুক্ত। অর্থাৎ ন্যাচারাল বলেই প্রাকৃতিক উপায়ে খুব দ্রুত এবং কার্যকারী উপাদান থাকে বলেই চুল পড়া কমানোর জন্য কার্যকারিতা অপরিসীম। তাহলে চলুন জেনে নেয় কি কি প্রাকৃতিক উপায়ে আমরা এক সপ্তাহে চুল পড়া বন্ধ করতে পারি।lpl
চুল পড়া কমানোর জন্য অ্যালোভেরা
আমরা অনেকেই জানিনা অ্যালোভেরা কতোটা উপকার করে চুলের। অ্যালোভেরা একটি উপকারী উদ্ভিদ। অ্যালোভেরায় প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট আছে যা ত্বকের আর্দ্রতা বজায় রাখে ঠিক তেমনি চুলের গ্রোথ মজবুত এবং সুন্দর করে। অকালে চুল পড়ে যাওয়া রোধ করতে অ্যালোভেরার
ভূমিকা অনেক। অ্যালোভেরা চুল সিল্কি করতেও সাহায্য করে।
চুল পড়া কমানোর জন্য নারকেল দুধ
আমরা সকলেই জানি নারকেল তেল আমাদের চুলের জন্য অনেক উপকারী কিন্তু আমরা এইটা জানি কি নারকেল দুধ কতোটা উপকারী। চুলের যত্নে নারকেল দুধ ও অনেক উপকার। নারকেল দুধে আছে ভিটামিন বি ১, বি৩,বি৬ ও ভিটামিন সি, ভিটামিন ই। এছাড়াও রয়েছে চুলের পুষ্টিকর খনিজ যেমন
ক্যালসিয়াম, আয়রন, ম্যাগনেসিয়াম, ফসফরাস, সেলেনিয়াম ইত্যাদি। আর এই খনিজগুলো চুলের গোড়া থেকে মজবুত করে।
চুল পড়া কমানোর জন্য কেশরাজ পাতা
কেশরাজ পাতার সাথে আমরা অনেকেই পরিচিত। কিন্তু বর্তমানে আমরা অনেকে কেশরাজ পাতার রস চুলে দেয়না কারণ সচারোচর এই পাতা আমরা খুজে পাইনা।কিন্তু কেশরাজ পাতায় এমন সব উপাদান আছে যা চুলের জন্য অনেক উপকারি। কেশরাজ পাতার রস চুলে মাখলে চুল ঘন ও কালো করে। চুলের
গোড়া মজবুত ও সুন্দর করে। নিয়মিত ব্যবহারের ফলে চুল পড়া বন্ধ করে মাত্র এক সপ্তাহে।
চুল পড়া কমানোর জন্যমেথি
মেথিতে আছে লেসিথিন নামক একটি উপাদান। যা চুল ও মাথার ত্বকের আর্দ্রতা বজায় রাখতে সাহায্য করে। যার কারণে মাথার ত্বক শুষ্ক হয়ে চুল ঝরে পড়া থেকে চুল কে বাঁচায়। এছাড়াও আছে অ্যান্টি ফাঙ্গাল আর অ্যান্টি-ব্যাক্টেরিয়াল উপাদান রয়েছে। যা খুশকির হাত থেকে বাঁচায়। ফলে চুল পড়া
রোধে অনেক বড় ভূমিকা রাখে কেননা খুশকি আমাদের চুলের গোড়া দুর্বল করে দেয়।
চুল পড়া কমানোর জন্য মেহেদীপাতা
প্রোটিন ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট উপাদান সমৃদ্ধ যা মাথার ত্বককে ঠাণ্ডা করে,গোড়া শক্ত করে ফলে চুল পড়া কমায়। এবং খুশকি থেকে ও চুলকে দেয় মুক্তি। মেহেদী পাতা চুলকে দেয় সার্বিক সমস্যার সমাধান। মেহেদীপাতা নিয়মিত ব্যবহারের ফলে চুল পড়া বন্ধ করে মাত্র এক সপ্তাহে।
আরও পড়ুনঃ মেহেদি পাতার মধ্যে কতো গুনাগুন আছে তা সম্পর্কে জেনে নিন
চুল পড়া কমানোর জন্য নিমপাতা
নিম পাতায় আছে ফ্যাটি অ্যাসিড, ভিটামিন ই, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ উপকরণ গুলো হেয়ার ফলিকল।চুলের গোড়া শক্ত ও মজবুত করে।নিমের মধ্যে থাকা অ্যান্টি ফাঙ্গাল যা খুশকি দূর করে ও চুলকানির সমস্যা দূর করে। নতুন চুল বৃদ্ধি করে এবং পাশাপাশি চুল গজাতেও সাহায্য করে।
ব্যবহারবিধিঃ একটি পরিষ্কার পাত্রে চামচ দিয়ে অ্যালোভেরার জেল গুলো ভালভাবে তুলে নিন,তারপর নারকেল দুধ, কেশরাজ পাতার রস,নিমপাতার রস, ব্লেন্ড করা মেহেদী পাতা,ভিজিয়ে রাখা মেথি ব্লেন্ড করে সব উপকরণ একসঙ্গে মিক্স করে চুলে লাগিয়ে নিন। এইবার অপেক্ষা করুন চুল না শুকানো
পর্যন্ত। চুল শুকিয়ে গেলে শ্যাম্পু দিয়ে ভালভাবে ধুয়ে নিন। নিয়মিত ব্যবহার করতে হবে ভাল ফলাফলের জন্য। সপ্তাহে ১ বার এইভাবে চুলে দিলে চুল পড়া করতে পারবেন।
এক সপ্তাহে চুল পড়া বন্ধ করতে কোন কোন ভিটামিন প্রয়োজন
চুল পড়া বন্ধ করতে ভিটামিন যে কতটা প্রয়োজনীয় তা আমরা অনেকেই জানি।কিন্তু চুলের জন্য কি সব ভিটামিন কার্যকারী ? না সব ভিটামিন না, ভিটামিনের মধ্যে ভিটামিন এ, ভিটামিন বি১, ভিটামিন বি৩, ভিটামিন বি ৫, ভিটামিন ৬, ভিটামিন ১২, ভিটামিন সি,ভিটামিন ডি, ভিটামিন ই। এই ভিটামিন
গুলো আপনি খাবার থেকে সংগ্রহ করতে পারেন।আবার ঔষধ ফার্মেসী থেকে নিতে পারেন।
চুল পড়া রোধে কি কি খাবার খাওয়া প্রয়োজন
আমাদের স্বাস্থ্য ভাল রাখার জন্য যেমন ভাল মানের খাবার প্রয়োজন ঠিক তেমনি চুলের স্বাস্থ্যের জন্যও ভাল মানের খাবার প্রয়জন।চুল পড়া কমানোর জন্য শাক সবজির ভূমিকা অপরিসীম।কেননা শাক সবজিতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন থাকে। যে যে ভিটামিন গুল প্রয়োজন চুল পড়া কমানোর জন্য সেইসব ভিটামিন
শাকসবজিতে পাওয়া যায়। যেমন পালংশাক, গাজর,সবুজ কড়াইশুঁটি, মিষ্টিআলু ইত্যাদি।এছাড়া চুল পড়া কমানোর জন্য আমিষ জাতীয় খাবারও অনেক গুরুত্বপূর্ণ।বিশেষ করে প্রতিদিন একটি করে ডিম খাওয়া উচিত। প্রোটিন ও ক্যালসিয়াম জাতীয় খাবারও অনেক উপকারী চুল পড়া কমানোর জন্য।
চুলের গোড়া শক্ত করতে কিসের তেল বা কোন তেল প্রয়োজন
আমরা সকলে জানি চুলের যত্নে তেল কতোটা প্রয়োজনীয়। তেল ছাড়া চুল প্রচুর অগোছালো লাগে দেখতে। এখন হইতো আমরা স্টাইল করা জন্য তেল ব্যবহার করি না কিন্তু চুল তাজা রাখার জন্য তেল একমাত্র উপায়।তবে শ্যাম্পুর করার পর নারকেল তেলের সাথে কাস্টার অইল মিক্স করে সপ্তাহে
একবার করে দিলে অনেক ভাল ফলাফল পাওয়া যায়। এছাড়াও বাসায় প্রাকৃতিক জিনিসগুলো দিয়ে তেল বানানো যায় খুব সহজে আর এইভাবে তেল বানিয়ে ব্যবহার করলে চুলের উন্নতি খুব তাড়াতাড়ি হয় কেননা বাসায় বানানো তেল কোনপ্রকার ভেজাল থাকে না। তাহলে এইবার চলুন আমরা তেল বানানো শিখি।
অ্যালোভেরা তেল চুলের জন্য
সবাই সবরকম তেল ব্যবহার করলেও এলোভেরা তেল ব্যবহার করেনিএমন অনেকেই আছে। এলোভেরা যেমন স্কিন এর জন্য উপকারী ঠিক তেমনই চুলের গ্রোথের এবং সুন্দর করতে বেশ উপকারী অকালে চুল পড়ে যাওয়া রোধ করতে ভীষণ উপকারী। বাজারের কেমিক্যাল যুক্ত প্রডাক্ট ব্যবহার করে
চুলের সৌন্দর্য নষ্ট হয়ে যায় বাজারের এই সব প্রডাক্ট ব্যবহার না করে ঘরোয়া উপায়ে এলোভেরা এই তেল ব্যবহার করুন এই তেল ব্যবহার করলে চুল পড়া বন্ধ হবে ১০০%, চুল সিল্কি এবং সাইনিং হবে।
অ্যালোভেরা তেল বানানোর নিয়মঃ এই তেল আপনারা চুলের লেন্থ অনুযায়ী অ্যালোভেরা পাতা নিবেন। তারপর ভালো করে অ্যালোভেরা পাতা পানি দিয়ে ধুয়ে নিতে হবে তারপটি তৈরি করার জন্য সবার প্রথমে একটি তাজা অ্যালোভেরা পাতা নিতে হবে ,অ্যালোভেরা জেল এর পাতাটা কেটে এর
ভিতরে থাকা জেল বের করে নিতে হবে এখন চুলায় একটা পাত্র দিতে হবে আর এর মধ্যে হাপ কাপ পরিমান নারিকেল তেল দিতে হবে তেলটা হালকা গরম হলে এর মধ্যে ১ চামচ মেথি দিতে হবে এবার এই মেথি তেলের মধ্যে গরম হতে থাকলে যখন ব্রাউন কালার হবে তখন এর মধ্যে অ্যালোভেরা জেল
দিয়ে দিতে হবে এরপর কিছুক্ষণ অপেক্ষা করতে হবে তারপর চুলা থেকে তেল টা নামিয়ে ঠান্ডা করতে হবে। ঠান্ডা হবার পর ছাঁকনি দিয়ে তেল টা বের করে নিতে হবে এখন অ্যালোভেরা তেল টা তৈরি হয়ে গেছে এবার চুলের গোড়ায় লাগাতে হবে লাগানো হয়ে গেলে আঙুলের সাহায্যে ম্যাসাজ করতে হবে
এরপর শ্যাম্পু করে নিতে হবে। এই তেল ব্যবহারের ফলে অকালে চুল সাদা হবে না আপনারা চাইলে এই তেল টা বেশি পরিমানে তৈরি করে দু সপ্তাহ রেখে ব্যবহার করতে পারবেন
পেঁয়াজের তেল চুলের জন্য
পেঁয়াজের তেল খুবই উপকারী চুল পড়া কমানর জন্য। পেঁয়াজের তেল খুব তাড়াতাড়ি ভাল ফলাফল এনে দেয় চুলের। কিন্তুু কিছু সহজ উপায় অবলম্বন করে পেঁয়াজের তেল ব্যবহার করলে মাত্র সাত দিনে চুল পড়া বন্ধ হবে নিমিষেই। পেঁয়াজের তেল চুল পড়া বন্ধ এবং চুলকে লম্বা ও সিল্কি করতে খুব ভালো
কাজ করে যারা অন্য কোন তেল ব্যবহার করে উপকার পাননি তারা পেয়াজের এই তেল টি ব্যবহার করতে পারেন। কিছুদিন ব্যবহার করলেই নিজেই ফলাফল বুঝতে পারবেন পেঁয়াজে উচ্চ মাত্রায় সালফার থাকে পেঁয়াজ চুল পড়া কমাতে এবং নতুন বেবি হেয়ার গজাতে সাহায্য করে।এটি মাথার ত্বকে
রক্ত সঞ্চালন বাড়াই সেই সাথে এতে থাকা এন্টিব্যাকটেরিয়াল উপাদান গুলো ত্বককে জীবানু মুক্ত রাখতে সাহায্য করে। পেঁয়াজের এতো গুনাগুনের জন্য দেশে বিদেশে চুল পড়া নিয়ন্ত্রণের জন্য পেঁয়াজের রস ব্যবহার করা হয়ে থাকে অনেক হেয়ার প্রডাক্ট এ এখন পেঁয়াজের রস ব্যবহার করা হয়
পেঁয়াজের মধ্যে রয়েছে ডায়টারি সালফার এটা পুনরায় চুল গজাতে সাহায্য করে সালফার হলো খুব প্রচলিত একটা মিনারেল। কখনো কখনো স্কাল্প এর সংক্রমনের কারণে চুল পড়ে পেঁয়াজে এন্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে এন্টিঅক্সিডেন্ট শরীর থেকে ক্ষতিকর ফ্রিরেডিক্যাল দূর করতে সহায়ক আর
পেঁয়াজের তেল ব্যবহার করলে পাতলা চুল ও অনেকটা ঘন হয়।
পেঁয়াজের তেল বানানোর নিয়মঃ পেঁয়াজের তেল বানানোর জন্য বেশ কয়েকটা পেঁয়াজ কুচি কুচি করে কেটে নিতে হবে। আপনারা চায়লে ব্লেন্ডারে ব্লেন্ড করে নিতে পারবেন তবে বেশি মিহি করার প্রয়োজন নেই "তো পেঁয়াজ কুচি করা হয়ে গেলে চুলায় একটি পাত্র বসিয়ে তাতে নারিকেল তেল ঢেলে
দিতে হবে এরপর কুচি করে রাখা পেঁয়াজ গুলো ঢেলে দিতে হবে তার সাথে দিতে হবে ২ চামচ কালো জিরা এখানে কালো জিরা ব্যবহার করা হবে এই কারনেই কালজিরা বেবি হেয়ার গজাতে সাহায্য করে। এবার এ মিশ্রনটি হালকা আচে জ্বাল দিতে থাকতে হবে যতক্ষণ পর্যন্ত পেঁয়াজ গুলো গাঢ় বাদামি না-হয়
ততক্ষণ পর্যন্ত জ্বাল দিতে থাকতে হবে।গাঢ় বাদামি হয়ে গেলে চুলা থেকে নামিয়ে ঠান্ডা করে নিন ঠান্ডা হয়ে গেলে ছাঁকনি দিয়ে ছেঁকে কাঁচের পাত্রে বা তেল রাখার কোন পাত্রে তেল টি রেখে দিন এই তেলটি আপনারা প্রতিদিন ব্যবহার করলে বেশি উপকার পাবেন।আর যারা চুলে তেল লাগাতে পারেন না
ব্যস্ততার জন্য তারা এই তেল টি সপ্তাহে ৩ দিন ব্যবহার করবেন এই তেলটি চুলের গোড়ায় ধীরে ধীরে ম্যাসাজ করবেন একঘন্টা অপেক্ষা করে শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।যারা রাতে ঘুমানোর আগে মাথায় তেলটা লাগাবেন তারা সকালে গোসল করার সময় শ্যাম্পু করে ফেলবেন শুষ্ক চুলের জন্য এই তেল খুব
উপকারী এটা ব্যবহারে চুলের রুক্ষতার পাশাপাশি চুলের গোড়াও মজবুত হয় এছাড়াও খুসকির সমস্যা দূর করতেও সাহায্য করে।
চুল পড়া রোধে কোন কোন শ্যাম্পু ব্যবহার করতে হবে
চুল পড়া কমানোর জন্য যেমন তেল প্রয়োজন ঠিক তেমনি চুল ভাল রাখতে শ্যাম্পু ও অনেক গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু সব শ্যাম্পু কি ভালো? সব শ্যাম্পু কি একই কাজ করে ? না।চুল পড়া কমানোর জন্য কিছু কিছু শ্যাম্পু আছে অনেক ভাল কাজ করে। চুলকে করে ভিতর থেকে পরিস্কার, চুল কে গড়া থেকে মজবুত করে চুল পড়া
কমায় এবং চুল কে করে সিল্কি। কার্যকারী শ্যাম্পুর মধ্যে কয়েকটা ভাল শ্যাম্পুর নাম নিচে দেওয়া হলো
- Neutrogena T/Gel Therapeutic Shampoo
- Clinic plus Shampoo
- Dove shampoo
- Minox5% Anti-Hairloss shampoo
চুল পড়া রোধে ৮ টি পরীক্ষিত উপাদান
নানা গবেষণাগারে পরীক্ষা নিরীক্ষার পর জানা গেছে চুল পড়া কমানোর কয়েকটি পরীক্ষিত উপাদান। এই উপাদানগুলো চুল পড়া কমানোর ক্ষেত্রে অনেক ভূমিকা রাখে। চুল পড়া কমানোর জন্য ৮ টি পরীক্ষিত উপাদান গুলো নিম্নে দেওয়া হলোঃ
- জবাফুলের রস
- পেঁয়াজের রস
- মেথি
- আমলকী
- অ্যালোভেরা
- মেহেদীপাতা
- নিমপাতার রস
- গ্রিনটি
চুল পড়া কমানোর জন্য কিভাবে চুলের যত্ন নিতে হবে
নোংরা হলে পরিষ্কার করে নিতে হবে।চুল ভেজা থাকলে ভাল করে চুল শুকিয়ে নিতে হবে।প্রতিদিন চুলে শ্যাম্পু করা যাবে না কেননা চুলের জন্য তেল অনেক প্রয়োজন,তেলে চুল প্রান ফিরে পায়।তাই নোংরা হলেই কেবল শ্যাম্পু করতে হবে চুলে। নিয়মিত চুলে তেল দিতে হবে। প্রতিদিন ঘুমানোর আগে চুলগুলো
ভালভাবে বেধে নিতে হবে। চুল পড়া কমানোর জন্য অবশ্যই সব যত্নের পাশাপাশি এই যত্নগুলো করতে হবে।
সর্বশেষ কথা
চুল পড়া কমানোর জন্য উপরোক্ত আলোচনা মেনে চললে অবশ্যই ভাল ফলাফল আশা করা যাবে মাত্র ১ সপ্তাহে। তাই চুল পড়া কমানোর জন্য ও চুল কালো সুন্দর করার জন্য উপরোক্ত নিয়মগুলো যথেষ্ট।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url