জেনে নিন আর্টিকেল লেখার সহজ অ্যাডভান্স কিছু নিয়ম কানুন
আর্টিকেল লেখার সহজ অ্যাডভান্স কিছু নিয়ম কানুন জেনে রাখা অত্যন্ত জরুরি কেননা বর্তমান সময়ে আর্টিকেল লিখে আমরা অনেক টাকা আয় করে থাকি এইটা আমরা অনেকে জানি।কিন্তু আমরা অনেকে এইটা জানিনা যে কিভাবে আর্টিকেল লিখলে ভাল হবে। পাঠকদের পড়ে ভাল লাগবে এবং পরতে আগ্রহী হবে।
তাই এই নিয়মগুলো না জানলে আমরা আর্টিকেল লিখে ভাল আয় করতে সক্ষম হবনা। তাই আর্টিকেল লেখার আগে আমাদের আর্টিকেল লেখার নিয়ম কানুন জানতে হবে।
পেজ সূচিপত্র
আর্টিকেল লেখার নিয়মগুলো উল্লেখ
আর্টিকেল লেখার নিয়মগুলো নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা
শেষকথা
আর্টিকেল লেখার নিয়মগুলো উল্লেখ
- ভোরে আর্টিকেল লিখতে হবে
- আর্টিকেল পড়ার ধৈর্য থাকতে হবে
- আর্টিকেলের লেখা সহজ করতে হবে
- আর্টিকেল বিভিন্নভাগে বিভক্ত করে লিখতে হবে
- আর্টিকেল লেখার জন্য স্থান নির্বাচন করা
- আর্টিকেল স্মুথলি লিখতে হবে
- আর্টিকেল লেখার পর রিভিশন দিতে হবে
- আর্টিকেলের শর্ট Draft করতে হবে
- আর্টিকেলে একই কথা বার বার উল্লেখ করা যাবে না
- আর্টিকেল গ্রামার সম্পর্কে জেনে লিখতে হবে
- আর্টিকেলে নেতিবাচক কথা না বলা
- আর্টিকেলের বিষয় নির্দিষ্ট করা
- আর্টিকেল লেখার সময় এডিট না করা
- সেরা লেখকদের লেখা পড়তে হবে
- আর্টিকেল ব্যাখ্যা করতে হবে
- আর্টিকেলের উদ্দেশ্য নোটিশ করতে হবে
- আর্টিকেলে অন্য কোন লিঙ্ক অ্যাড না করা
- নিজেকে পারফেক্ট প্রকাশ করা যাবেনা
আর্টিকেল লেখার নিয়মগুলো নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা
প্রথমে বলা হয়েছে ভোরে আর্টিকেল লিখতে হবে,কারণ কোন কিছু মনোযোগ দিয়ে করতে হলে পারফেক্ট একটা সময়ের দরকার।আর এই পারফেক্ট সময়টা হলো ফজরের নামাযের পর। আমাদের চারপাশ অনেক নিরব থাকে,সেই সময় আর্টিকেল লিখলে ফ্রেশ মাইন্ডে লেখা যাবে কারন আমরা ঘুম
থেকে উঠার পর আমাদের মাইন্ডে কোন চাপ থাকেনা তাই নিশ্চিন্তে ফ্রেশ মাইন্ডে আর্টিকেল লেখা সম্ভব হয়ে থাকে।তারপর বলা হয়েছে আর্টিকেল পড়ার ধৈর্য থাকতে হবে, কারণ আপনি যতো আর্টিকেল পড়বেন ততো ভাল আর্টিকেল লিখতে পারবেন।
যে বিষয় নিয়ে আর্টিকেল লিখবেন সে বিষয়ে যদি আপনি না জানেন তাহলে কিভাবে আর্টিকেল লিখবেন। যারা দক্ষ আর্টিকেল লেখক তারা নিজেরাও প্রথমে জানেনা যে কিভাবে আর্টিকেল লিখবে তারাও পড়ে পড়ে জ্ঞান অর্জন করার পর সঠিকভাবে আর্টিকেল লিখতে সক্ষম হয়। তাই
আর্টিকেল লিখতে হলে আর্টিকেল পড়ার ধৈর্য থাকতে হবে।
৩. নাম্বারে বলা হয়েছে আর্টিকেলের লেখা সহজ করতে হবে মানে এমনভাবে আর্টিকেল লিখতে হবে যেন পাঠক পড়ে খুব সহজে লেখা গুলোর অর্থ বুঝতে পারে তাহলে পাঠক পরে আনন্দ পাবে আর পাঠকের আর্টিকেল পড়ার উদ্দেশ্যও সফল হবে।
৪. নাম্বারে বলা হয়েছে আর্টিকেল বিভিন্নভাগে বিভক্ত করে লিখতে হবে অর্থাৎ আপনি যদি প্যারাগ্রাফ আকারে লিখতে থাকেন লেখাটা পড়তে পাঠকের সমস্যা হবে আর যদি লেখাটা বিভক্ত বা সূচিপত্র আকারে বা হেডিং আকারে থাকলে পড়তে এবং খুঁজে পেতে সহজ হবে। এতে পাঠকও পড়ে খুশি হবে।
৫.নাম্বারে বলা হয়েছে আর্টিকেল লেখার জন্য স্থান নির্বাচন করা এইটা অনেক গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। আপনি যখন আর্টিকেল লিখবেন সেই জায়গাটা যদি ট্রেন কিংবা যেকোনো যানবাহনে হয় তাহলে আপনি কি ঠিকমতো আর্টিকেল লিখতে পারবেন ? না কারণ আশেপাশে শব্দ হবে। মানুষের ভিড় থাকবে সব
মিলিয়ে ডিস্টার্ব হবে। তাই এমন স্থানে বসে আর্টিকেল লিখতে হবে যেন কোন শব্দ না হয় পরিবেশটা নিরিবিলি হবে। তাহলে অনেক মনোযোগ দিয়ে আর্টিকেল লিখতে পারবেন।
৬.নাম্বারে বলা হয়েছে আর্টিকেল স্মুথলি লিখতে হবে অর্থাৎ আর্টিকেলের ভাষাগুলো যেন স্পষ্ট হয়,যেন পাঠক আর্টিকেল পড়ে বুঝতে পারে আপনি দক্ষ একজন লেখক। আমরা যেভাবে কথা বলি সেইভাবে আর্টিকেল লিখতে হবে যেন কথা গুলো সুন্দর এবং পড়তে ভালো লাগে পাঠকদের।
৭.নাম্বারে বলা হয়েছে আর্টিকেল লেখার পর রিভিশন দিতে হবে।কারণ আপনি যে আর্টিকেল লিখেছেন সেটা পুরো রিভিশন দিয়ে চেক করতে হবে যে বিষয়ে লিখেছেন তা প্রকাশ পেয়েছে কিনা, আপনার লিখার মধ্যে বানান ভুল আছে কিনা ইত্যাদি।
৮.নাম্বারে বলা হয়েছে আর্টিকেলের শর্ট Draft করতে হবে অর্থাৎ ধরেন আপনি কোন আর্টিকেল লিখছেন এখন আর্টিকেল লিখতে শুরু করছেন লিখতে লিখতে বাইরে যাবেন সেই অসম্পূর্ণ আর্টিকেলটি ড্রাফট করে রেখে যাবেন যেন পরে এসে ওইখান থেকে লেখা শুরু করতে পারেন।
তাহলে আপনাকে শুরু থেকে আর লিখতে হবেনা।
৯.নাম্বারে বলা হয়েছে আর্টিকেলে একই কথা বার বার উল্লেখ করা যাবে না কেননা একই কথা বার বার উল্লেখ করলে পাঠকদের আর্টিকেল পড়তে পড়তে বিরক্তিভাব চলে আসবে ফলে বিরক্তি হয়ে আপনার ওয়েবসাইট থেকে বের হয়ে যাবে।
১০.নাম্বারে বলা হয়েছে আর্টিকেল গ্রামার সম্পর্কে জেনে লিখতে হবে অর্থাৎ আপনি যদি বাংলা আর্টিকেল লিখেন সেই ক্ষেত্রে আপনাকে বাংলা গ্রামার সম্পর্কে ভালভাবে জেনে নিতে হবে তা নাহলে আর্টিকেল লিখার সময় ভুল লিখবেন, সেইমভাবে ইংলিশ গ্রামার লিখলে ইংলিশ গ্রামার সম্পর্কেও জেনে নিতে হবে।
১১. নাম্বারে বলা হয়েছে আর্টিকেলে নেতিবাচক কথা না বলা এটি অনেক গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। আপনাকে খেয়াল রাখতে হবে আপনার আর্টিকেল পড়ে যেন পাঠকদের না মনে হয় কাউকে ছোট করে কিছু বলেছেন,আবার ধর্ম নিয়ে বাড়াবাড়ি যেমন অন্যের ধর্মকে ছোট করে কিছু বলেছেন এমন কিছু যেন আর্টিকেলের মধ্যে প্রকাশ না পাই। এছাড়াও অশীল আচারণ করা যাবে না আর্টিকেলের মধ্যে।
১২. নাম্বারে বলা হয়েছে আর্টিকেলের বিষয় নির্দিষ্ট করা মানে আপনি যে বিষয়ে আর্টিকেল লিখেছেন তা আপনার আর্টিকেলের মধ্যে প্রকাশ পাচ্ছে কিনা সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হয়। পাঠকরা যখন আর্টিকেল পড়ে অবশ্যই নির্দিষ্ট বিষয় নিশ্চিত হওয়ার জন্য কিন্তু আপনার আর্টিকেল পড়ে যদি পাঠকরা নির্দিষ্ট বিষয় নিশ্চিত হতে না পারে তাহলে তাদের মনোযোগ আপনার ওয়েবসাইট থেকে বের হয়ে যাবে।
১৩.নাম্বারে বলা হয়েছে আর্টিকেল লেখার সময় এডিট না করা, যখন আপনি আর্টিকেল লিখবেন তখন কোন এডিট না করে সম্পূর্ণ লিখে যাওয়া এতে আর্টিকেল লিখতে ভুল হবেনা।আর আর্টিকেল লেখার সময় এডিট করলে লিখার মনোযোগটা অন্যদিকে চলে যায় ফলে ভুল হওয়ার সম্ভবনা বেশি থাকে।তাই লিখার পরে এডিট করা উচিত।
১৪.নাম্বারে বলা হয়েছে সেরা লেখকদের লেখা পড়তে হবে,সেরা লেখকদের লেখা পড়লে আপনি অনেক কিছু জানতে পারবেন যা আপনাদের সম্পূর্ণ অজানা।আর সেরা লেখকদের লেখা পড়লে অনেক অভিজ্ঞতা বাড়বে আর সেই অভিজ্ঞতা থেকে অনেক ভাল আর্টিকেল লিখতে পারবেন।
১৫.নাম্বারে বলা হয়েছে আর্টিকেল ব্যাখ্যা করতে হবে,আপনি যে আর্টিকেল লিখছেন তা ব্যাখ্যা না করে দিলে পাঠক পড়ে কিছুই বুঝবেনা, আমরা একটা আর্টিকেলে যতো ব্যাখ্যা দিবো ততোই ভালো তবে ব্যাখ্যা গুলো যেন সঠিক হয়।
১৬.নাম্বারে বলা হয়েছে আর্টিকেলের উদ্দেশ্য নোটিশ করতে হবে ,আপনি যখন একটা আর্টিকেল লিখবেন তখন সেইটা কাদের উদ্দেশ্য করে লিখছেন তা নোটিশ করতে হবে। যেমন অনেক বিষয় থাকে বেসিকিউ ইউজারদের জন্য আবার অনেক বিষয় থাকে অ্যাডভান্স ইউজারদের জন্য। এখন আপনি
একটা আর্টিকেল লিখছেন অ্যাডভান্স ইউজারদের জন্য সেইখানে যদি বেসিক কথা আপনি আলোচনা করেন যা তারা আগেই জেনে এসেছে তাহলে আপনার পাঠকরা বিরক্তবোধ করবে।আর যখন আপনি বেসিকিউ ইউজারদের জন্য লিখবেন তখন সেইগুলো ব্যাখ্যা করে করে লিখবেন।তাহলে আপনার অডিয়েন্সদের কথা মাথায় রেখে আর্টিকেল লিখতে হবে।
১৭. নাম্বারে বলা হয়েছে আর্টিকেলে অন্য কোন লিঙ্ক অ্যাড না করা,আপনি যদি আপনার আর্টিকেলের মধ্যে অন্য ওয়েবসাইট এর আর্টিকেল লিঙ্ক করে দেন তাহলে পাঠকরা সেই লিঙ্ক ধরে অন্য ওয়েবসাইটে চলে যাবে এতে করে আপনার আর্টিকেল না পড়ে অন্য কারো আর্টিকেল পড়বে তাই লিঙ্কএর মধ্যে আপনার ওয়েবসাইট এর আর্টিকেল রাখবেন।
১৮.নাম্বারে বলা হয়েছে নিজেকে পারফেক্ট প্রকাশ করা যাবেনা অর্থাৎ আপনার আর্টিকেল পড়ে যেন পাঠকরা এইটা না বুঝে আপনি সব চেয়ে ভাল আর্টিকেল লিখতে পারেন আর কেউ পারে না, আপনি সব সঠিক লিখেন আর কেউ লিখে না এই ধরনের মত প্রকাশ করা যাবেনা আর্টিকেলের মধ্যে।
শেষকথা
আর্টিকেল লেখার সহজ অ্যাডভান্স উপরে আলোচনা করা হয়েছে। যারা আর্টিকেল লিখতে চান তারা উপরোক্ত নিয়মকানুন মেনে চললে আর্টিকেল লিখে খুব সহজে আয় করতে পারবেন। কেননা উপরোক্ত নিয়মে আর্টিকেল লিখলে আর্টিকেল লেখা নির্ভুল হবে ফলে পাঠকদের কাছে বিশ্বাসযোগ্য ও নির্ভরযোগ্য হয়ে উঠতে পারবেন খুব সহজে।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url