OrdinaryITPostAd

নারীরা জান্নাতি হতে চাইলে যে ছয়জন নারীকে ফলো করবেন

আমরা যারা মুসলিম পরিবারের জন্মগ্রহন করেছি আমরা জানি পরকাল বলে একটা কথা আছে।আর আমাদের মৃত্যুর পরবর্তী জীবনকে পরকাল বলে।আর সেই জীবনে আমাদের পৃথিবীতে করে যাওয়া সকল পাপ পূর্ণের বিচার হবে।

 



যারা পৃথিবীতে ভাল কাজ করে যাবে তারা জান্নাতে থাকবে। আর এই কথা গুলো আমরা সকলে জানি।তাই এই জান্নাত লাভ করতে হলে আমাদেরকে ছয়জন নারীকে ফলো করতে হবে।

পেজ সূচিপত্র

কোন ছয়জন নারীকে আমরা ফলো করবো

জান্নাতি হতে চাইলে যে ছয়জন নারীকে ফলো করবেন 

  1. হযরত ফাতেমা (রাঃ)
  2. হযরত  খাদিজা (রাঃ)
  3. হযরত আয়েশা (রাঃ)
  4. হযরত হাজেরা (রাঃ)
  5. হযরত মরিয়ম (আঃ) এবং
  6. হযরত আসিয়া (রাঃ)

 কেন এই ছয়জন নারীকে আমরা ফলো করবো

ইসলামে এই  ছয়জন নারীর কথা উল্লেখ আছে  এই আদর্শ গুলো দিয়ে নারীদের জীবন সাজালে নারীদের জীবন আলোই আলোকিত হয়ে উঠবে। এই ছয়জন নারী ছিলেন  নারীদের জন্য আদর্শ। এই ছয়জন নারীদের মধ্যে যে গুন গুলো ছিল তার অন্যতম হচ্ছে বিপদে আপদে আল্লাহকে সরণ করা,

আল্লাহর কাছে সাহায্য চাওয়া, আল্লাহর আনুগত্য প্রকাশ করা, একমাত্র আল্লাহকে ভরসা করা, পর্দার আবরণে নিজেকে লুকিয়ে রাখা, কষ্ট হলে সহ্য করা, কঠিন পরিস্থিতে ধৈর্য ধরা,স্বামীর আদেশ নির্দেশ মেনে চলা, আল্লাহর  ইবাদত করা, দানশীল হওয়া, মানুষের প্রতি সদয় হওয়া। এই সকল ভাল গুন গুলো

সেই ছয়জন নারী মধ্যে বিদ্যমান ছিলেন। যে কারনে এই ছয়জন নারীকে ফলো  করার কথা আমাদেরকে বলা হয়েছে।

এই ছয়জন নারীর জীবন নিয়ে কিছু কথা 

ইসলামের ইতিহাসে উল্লেখিত আছে  হযরত হাজেরা (রাঃ) কে মরুভূমিতে রেখে আসা হয়েছিল আল্লাহর ইচ্ছায়।সাথে ছিলেন ছোট নবজাতক শিশু হযরত ইসমাইল (আঃ)।তবুও তিনি ভয় পাননি কারন হযরত হাজেরা (রাঃ) ভরসা ছিলেন একমাত্র মহান আল্লাহ।তিনি জানেন আল্লাহ তাকে নিরাশ হতে দিবেন না।

হযরত আসিয়া (রাঃ) ফেরাউনের স্ত্রী হওয়ার পরও আল্লাহর প্রতি ঈমান এনেছিলেন।ফেরাউন হযরত আসিয়া (রাঃ) কে অনেক কষ্ট দিয়েছেন, এতো অত্যাচারের পরও তিনি ফেরাউনের কাছে মাথা নত করেননি। তিনি একমাত্র আল্লাহ ছাড়া কারো কাছে মাথা নত করেননি।

হযরত মরিয়ম (আঃ) সবসময় আল্লাহর ইবাদত করতেন,আল্লাহর রাস্তায় নিজেকে উজার করে দিয়েছিলেন।

 হযরত  খাদিজা (রাঃ) আমাদের নবীজির স্ত্রীদের মধ্যে প্রিয় একজন স্ত্রী ছিলেন কারন নবীজির বিপদের সময় স্বামীকে ছেড়ে যাননি। বিপদের সাথী হিসেবে নবীজির পাশে ছিলেন।

 হযরত আয়েশা (রাঃ)কে আল্লাহ  কোনো সন্তান দেননি তবুও তিনি ধৈর্য হারাননি।  হযরত আয়েশা (রাঃ) এই ধৈর্য দেখে আল্লাহ খুশি হয়ে ওনাকে মুমিনদের মা হিসাবে আখ্যায়িত করেন।

হযরত ফাতেমা (রাঃ) অনেক কষ্ট করেছেন সংসার জিবনে। অনেকদিন না খেয়ে কাটিয়েছেন ,পরার জন্য জামা কাপড় পাইনি তবুও স্বামীর প্রতি রাগ করেনি,আল্লাহর ইবাদত ছেড়ে দেইনি। আল্লাহর পথে মসগুল থাকছেন।


এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url